আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো অন্তর্বর্তী সরকার।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫ সালের ১০ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুসারে। এবং পরবর্তী কার্যদিবসে এই ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত ছিল। বিশেষ করে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি), গণঅধিকার পরিষদ, নতুনধারা বাংলাদেশ, ও ছাত্র সংগঠনগুলো কয়েক দিন ধরেই রাস্তায় আন্দোলনে ছিল। তারা আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম, হত্যা, দুর্নীতি ও ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রতিবাদ করে আসছিল।

বিশেষ করে এনসিপি-র নেতৃত্বে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে একের পর এক মিছিল, গণসমাবেশ এবং অনশন কর্মসূচি চালানো হয়। দলটির শীর্ষ নেতারা জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দেশের গণতন্ত্রকে যারা বন্দি করে রেখেছিল, আজ তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা হচ্ছে — এটি জনগণের বিজয়।”

সরকার জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সহিংসতা, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলবে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

দলটি এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে একে অবৈধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মন্তব্য করেছে।

এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post